কক্সবাজারের টেকনাফে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ৪টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া,উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া,পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।
হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া,উলুবুনিয়া, , সাতঘড়িয়া পাড়াও হারাংখালী এলাকা অতিবৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে।এসময় অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া,পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমার ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।মাটির ঘর ভেঙে গেছে। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দেওয়া হবে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত